চরমোনাইয়ের ইতিহাস

চরমোনাইয়ের ইতিহাস 

সকল পীর-মুরিদী ব্যবসা কে উপেক্ষা করে মানুষের মাঝে কোরআন ও হাদিসের বানী  সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে ও ইসলামের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের প্রতিবাদ করতে সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন দেশের এই অন্যতম মারকাজ চরমোনাই । সকল ভন্ড পীর মাজার পূজারীদের,, ইসলামের কটুক্তিকারীদের সহ দেশের সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদের আরেক নাম চরমোনাই । ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের চিন্তাধারাকে শতভাগ অনুসরণ করে বাংলার প্রতিটি জনপদে বিশুদ্ধ এলম এবং তাবলীগ, তালীম, তাযকিয়া ও জিহাদের প্রেরণা পৌঁছে দিতে অন্যন্য মারকাজের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে এই চরমোনাই মারকায। আপনি শুনলে অবাক হবেন এই চরমোনাই মুক্তিযুদ্ধের সময় অসামান্য প্রশংসনীয়  অবদান রেখেছিল । 

বন্ধুরা চরমোনাই কিন্তু কোন তরিকা বা সংগঠনের নাম নয় । এটি একটি ছোট দ্বীপ বা চড়। তাহলে ছোট্ট সেই দ্বীপ থেকে কিভাবে আজ বিশ্ব দরবারে ইসলামের অন্যতম মারকায পরিচিতি লাভ করল তার পুরো ইতিহাস আজকে আপনারা আজকে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব । তাই পুরো পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইল ।

চরমোনাই একটি ইউনিয়নের নাম। ইতিহাস থেকে পাওয়া যায় আগেকার দিনে এখান দিয়ে বরিশালের কীর্তনখোলা নদী বয়ে যেত ।। একসময় নদীর মাঝখানে ছোট একটি চর জাগে ।। সেই চড়ে মনাই নামে একজন বুজুর্গ বসবাস করতেন ।। সেখানে তিনি ছনের ছাউনি দিয়ে ঘর তৈরি করে নামাজ রোজা করতেন । পরবর্তীতে তার নাম অনুসারে এই জায়গাটির নাম চরমোনাই হয়ে যায় । ১৯৬৪ সালের ২০শে মার্চ  ১১,৭৫৫ একর আয়তন বিশিষ্ট চর মোনাই ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। এভাবে কোনো বুযূর্গ বা বিখ্যাত ব্যক্তির নামে জনপদের নামকরণ হওয়ার ঘটনা ইতিহাসে  আরো অনেক আছে । এখানে আসলে ভাষার বিকৃতি বা অবক্ষয়ের কারণে চরমোনাই পীরের দর্বার কে সংক্ষেপে চরমোনাই ও সমর্থকদের চরমোনাই করে বলা হয়ে থাকে । 

বরিশালের এই নদী বেষ্টিত এলাকায় সেই ভারত পাকিস্তান ভাগ হওয়ার আগেই সৈয়দ ইসহাক রহ. ১৯৩৩ সালে দ্বীনী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে আত্মশুদ্ধির মেহনত শুরু করেছিলেন । কিন্তু ইতিহাস থেকে আরো জানা যায় এখানে প্রথমে তার নানা সৈয়দ আবদুল জাব্বার ওরফে আহসানুল্লাহ কাসেমী রহ. যিনি দেওবন্দীর একজন আলেম ও উজানীর কারী ইবরাহীম রহ. এর প্রথম খলীফা ছিলেন সেই প্রথম খানকাহ ভিত্তিক দিনের কাজ শুরু করেছিলেন । তবে সৈয়দ ইসহাক রহ. কেই মাদ্রাসা ও  বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির স্থপতি হিসেবে মনে করা হয় ।

ঐতিহাসিকদের মতে, আল্লামা সৈয়দ ইসহাক রহ. প্রথমে ইলমে যাহেরী অর্জনের পর চিশতিয়া ছাবেরিয়া তরিকার বিখ্যাত বুযূর্গ কুতুবুল আলম রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর রহ.র  খলীফা উজানীর হযরত কারী ইবরাহীম সাহেবের কাছে আত্মশুদ্ধির বাইয়াত গ্রহণ করেন। এবং পরবর্তীতে চিশতিয়া ছাবেরিয়া তরিকায় খেলাফত লাভ করেন। এরপরে তিনি নিজের এলাকায় ফিরে এসে খানকার মেহনত শুরু করেন। এবং তরিকার এই মিশনকে ব্যপকভাবে প্রসারিত করবার জন্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফর করতে শুরু করেন। নদীপথে দূরদূরান্তে নৌকায় করে দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে ছুটতেন। চোখের তপ্ত অশ্রু নদীর অশান্ত জলে একাকার করে দিয়ে উম্মাহর হেদায়াতের জন্য দোয়া করতেন। তিনি যেসকল জনপদে কদম রেখেছেন সেখানেই হেদায়াতের মশাল জ্বলে উঠেছে

চরমোনাই পীর সাহেবদের বংশ হচ্ছে সৈয়দ বংশ । একথা পীর সাহেবদের জীবনী থেকে জানা যায় তাছাড়া এ বিষয়ে বিভিন্ন নথিপত্রে উল্লেখ রয়েছে । কিন্তু কথিত আছে, সৈয়দ ইসহাক রহ. এর পূর্বপুরুষ আব্বাসীয় খেলাফতের শেষদিকে সৈয়দ আলী আসগর ও সৈয়দ আলী আকবর নামে দুই ভাই বাগদাদ থেকে বাঘের পিঠে চড়ে নাকি এদেশে এসে ইসলামের দাওয়াতি কাজ শুরু করেছিলেন । সৈয়দ ইসহাকের রহ. এর উত্তরসূরী হচ্ছেন, সৈয়দ আকবর আলী বাগদাদী রহ.। 

সৈয়দ ইসহাকের রহ. এর হাতে চরমোনাইতে দ্বীনের এই মারকায ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই বংশের যোগ্য মনিষীদের মাধ্যমেই সুচারুরূপে ক্রমবিকাশিত এবং পরিচালিত হয়ে আসছে । তিনি ১৯৭৩ সাল তার মৃত্যূর পূর্ব পর্যন্ত প্রধান মুরব্বী হিসেবে দায়ীত্ব পালন করে গেছেন । এরপরে ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহনকারী কিংবদন্তী মহাপুরুষ আল্লামা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের ২৫ নভেম্বর তার মৃত্যূর পূর্ব পর্যন্ত দায়ীত্ব পালন করেন। এবং বর্তমান আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম তার পিতার ইন্তেকালের পর থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত অত্যন্ত আমানতদারী ও বিচক্ষণতার সাথে দরবারের সবগুলো মিশনের প্রধান মুরব্বীর দায়িত্ব পালন ও পরিচালনা করে আসছেন । 

এই তরিকার শায়খগণ শত দুঃখ কষ্ট ও বাধাবিপত্তি সহ্য করে মানষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নবুওতি দাওয়াতের পবিত্র আমানত যত্নের সঙ্গে পৌঁছে দেবার কাজ করে গেছেন । বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, কুয়েত সহ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ আমেরিকার প্রায় রাষ্ট্রেই আজ এই তরিকার কাজে ব্যপক জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে । আর এ সবই এই তরিকার শায়খদের কষ্টের ফসল । সৈয়দ ইসহাক রহ. বাড়িঘর ছেড়ে দূরদূরান্তে পায়ে হেটে এবং নৌকায় করে দাওয়াতের জন্য ছুটে যেতেন। অনেকদিনের জন্য সফরে বের হলে কখনো বা তার স্ত্রীকে ওই নৌকায় করেই সঙ্গে নিয়ে যেতেন। 

সৈয়দ ফজলুল করীমের রহ.এর দাওয়াতি জিন্দেগীও ছিলো কষ্টের। কখনো পায়ে হেঁটে আবার কখনো বাই সাইকেলে করে দূরদূরান্তে দাওয়াত নিয়ে ছুটেছেন। যুগের অগ্রগতির সাথে সাথে দাওয়াতের কাজ জোরদার করবার জন্য মোটরগাড়িতে প্রয়োজনে হেলিকপ্টারে বা বিমানে সফর করলেও কখনো বিলাসিতায় আকৃষ্ট হননি। মাসের প্রায় ২৭/২৮ দিনই তিনি বাড়িঘর বিবি বাচ্চা রেখে দাওয়াত নিয়ে ছুটে যেতেন গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন শহরের অলিগলিতে ।

চরমোনাই মারকাযের পীর সাহেবগণ কর্মের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে তাবলীগ, তালীম, তাযকীয়া, জিহাদ ও রাজনীতির সমস্ত শাখায় পূর্ণ সম্পৃক্ততা বারানোর জন্য কাজ করে গেছেন । 

একথা আপনাকে স্বীকার করতে হবে যে, এদেশের মাজারপুজারী, বেদআতি ও অসৎ পীর ফকিরদের সবচেয়ে বড় ভীতি হচ্ছে এখন পীর সাহেব চরমোনাই। যুগে যুগে চরমোনাইর পীর সাহেবদের রয়েছে দেওয়ানবাগী, আটরশী, চন্দ্রপুরীসহ সমস্ত ভন্ড পীরদেরকে রুখে দাঁড়াবার ইতিহাস। এবং তাদের প্রতি হকের দাওয়াতও অব্যাহত রেখেছেন। আলিয়া ও কওমিয়া নেসাবের দুটি দেশসেরা বৃহৎ প্রতিষ্ঠান একই সাথে  সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত করে দূরদর্শিতা ও ঐক্যের স্বাক্ষর রেখেছেন এই চরমোনাই মারকাজ। 

চরমোনাই মারকাযের মুরব্বীগণ সবসময় বাংলাদেশকে গভীরভাবে ধারন করেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে চরমোনাই মারকাযের ভূমিকা ছিলো অত্যন্ত প্রশংসনীয়। একথা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, আল্লামা সৈয়দ ইসহাক রহ. চরমোনাই মাদরাসার বেশ কয়েকটি কামরা মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রাগার এবং লঙ্গরখানা হিসেবে ছেড়ে দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের ৯নং সেক্টর কমান্ডার এম এ জলিল এবং ক্যাপ্টেন আবদুল লতিফ হযরতের কাছে আসতেন এবং পরামর্শ নিতেন। সুতরাং এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে চরমোনাই দরবারের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং স্পষ্ট। ধর্মীয় অনাচারের মত মাজলুমের পক্ষে হানাদারদের জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এই দরবারের অন্যতম নীতি।

চরমোনাইর এই মারকায এখন ব্যপক সমৃদ্ধ ও সুসংহত। বাস্তবতা বলতে কী চরমোনাই সম্ভবত এখন শুধু একটা দরবার নয় বরং একটা আধ্যাত্মিক, রাজনৈতিক ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও চিন্তাধারার নাম। বর্তমানে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ একটা মিশন হচ্ছে চরমোনাই মারকায। সৈয়দ ইসহাক রহ.এই মারকাযের যতগুলো মিশন চালু করে গিয়েছিলেন সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. সেগুলোকে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধকরণের জন্য ব্যপক কাজ করে গেছেন। যার ফলস্বরূপ তার দায়িত্ব পালনকালে দেশে ও বিদেশে এই মিশনের জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে ।

সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. চরমোনাই মারকাজের ৪ টি মৌলিক মিশন চালু করে গেছেন।

১. বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি।

২. চরমোনাই জামেয়া।

৩. বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড।

৪.ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

ইতিহাস থেকে পাওয়া যায়

সৈয়দ ইসহাক রহ. বাংলাদেশ মুজাদিহ কমিটি ও চরমোনাই আলিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে১৯৮৩ সালে সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. কওমী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে দুটোর সমন্বয়ে জামেয়া চালু করেন ।

এবং তিনিই সুগভীর চিন্তার আলোকে বাংলার ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করবার স্বপ্ন নিয়ে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড গঠন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মৃত্যূর পূর্ব পর্যন্ত তিনিই এই বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে এই বোর্ডের অধিনে মানসম্মতভাবে ১৬০০০ এর অধিক মাদরাসা পরিচালিত হচ্ছে। 

সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. ১৯৮৭ সালে মানব রচিত শোষণের যাঁতাকল থেকে মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে এর সহযোগী সংগঠনগুলোও প্রতিষ্ঠিত হয়। আল্লামা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. ১৯৫৭ সালে ছাত্রজীবন শেষ করবার পরে তার শ্রদ্ধেয় পিতার অনুপ্রেরণায় তৎকালীন হাক্কানী ওলামাদের সর্ববৃহৎ সংগঠন নেযামে ইসলাম পার্টিতে যোগদান করেন। উল্লেখ্য এই সংগঠনটি ১৯৫৪ সালে  আশরাফ আলী থানবী রহ. এর অন্যতম খলিফা আল্লামা আতাহার আলী রহ. গঠন করেছিলেন। আল্লামা সৈয়দ ইসহাক রহ. এই নেযামে ইসলাম পার্টির সহসভাপতি ছিলেন। 

পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে আল্লামা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. তার শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ ও শাইখ হযরত হাফেজ্জী হুজুরের সংগঠন খেলাফত আন্দোলনে যোগদান করেন এবং নায়েবে আমীর নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে হাফেজ্জী হুজুরের রহ. ১৯৮৭ সালে মারা যাওয়ার পরে দলটিতে তাঁর আপনজনদের কারনে অন্তর্দন্দ শুরু হলে সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে এসে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামে পরিচিত ।

যাইহোক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩০ বছরের ব্যবধানে এখন এদেশের রাজনীতিতে আশার আলো। উদীয়মান তৃতীয় শক্তি। ইসলাম দেশ জাতি ও মানবতার স্বার্থে যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে জনগণের আস্থার প্রতিক এখন  এই  সংগঠনটি । 

আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত , চরমোনাই মারকায যে সমস্ত মিশনগুলো পরিচালনা করে আসছে তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে আত্মশুদ্ধি ইসলামী সঠিক শিক্ষা ও মানব চরিত্রের উন্নয়নের মাধ্যমে আদর্শিক বিপ্লব ও একটি সুস্থ সুন্দর পরিবর্তনের মাধ্যমে আল্লাহর আইন আল্লাহর এই জমীনে বাস্তবায়ন করা । সে লক্ষ্যে এই মারকাযের কাজ আরো গতিশীল ও প্রসারিত হোক। আরো সুন্দর ও সমৃদ্ধ হোক। এই কামনায় শেষ করছি ।

চরমোনাই সম্পর্কে আপনার কোন কিছু বলার থাকলে তাও কমেন্টস এ জান্নাতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে আল্লাহ হাফেজ ।


Next Post Previous Post
5 Comments
  • নামহীন
    নামহীন ২৯ আগস্ট, ২০২২ এ ৩:৫৫ PM

    চরমোনায় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে আমার ভালো লাগছে। কিন্তু বর্তমানে চরমোনায় পিরকে মানুষ দালাল বলছে কেন?

    • নামহীন
      নামহীন ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ এ ৪:২৮ AM

      সবই বুঝলাম

  • নামহীন
    নামহীন ২১ মে, ২০২৩ এ ৩:১৯ PM

    কুফুরী ও শিরকী আকীদায় বিশ্বাসী এই চরমোনাই একটি বাতিল ফেরকা। যা মূর্খদের আস্তানা। কোন শিক্ষিত লোক এটি সমর্থন করতে পারে না। আর সুবিধাবাদী দল চরমোনাই। ক্ষণে নেযামে ইসলাম, ক্ষণে খেলাফত, ক্ষণে নিজের মত-পথ । বর্তমান সময়ে দলটি সবচেয়ে বড় মুনাফিকের ভূমিকায় আছে। আপনার কত বড় সাহস জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এতো বড় একটি ইসলামী দল থাকতে চরমোনাই ভন্ডদেরকে তৃতীয় বৃহত্তম দল বা শক্তি বলার মিথ্যা সাহস হলো কি করে?

    • নামহীন
      নামহীন ৪ আগস্ট, ২০২৩ এ ১২:৫৮ AM

      পাগলে কি না বলে, জামায়াতের মতো একটা ভ্রান্ত আকিদার সংগঠনের এখন কোন অস্তিত্ব আছে?

  • নামহীন
    নামহীন ৪ আগস্ট, ২০২৩ এ ১২:৫৯ AM

    মাশাআল্লাহ, ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে সত্যকে তুলে ধরার জন্য

Add Comment
comment url