ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখার উপায় ২০২২
হ্যাকারদের অত্যাচারে কোথাও নিরাপত্তা নেই। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সবই এখন ঝুঁকির মুখে। প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা যতটা উপকৃত হয়েছি, ঠিক ততটাই অসুবিধার সম্মুখীনও হচ্ছি।
আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আমি তো বিশেষ ধরনের মানুষ নই। তাহলে আমার একাউন্ট হ্যাক হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হচ্ছে। তবে সবাই বিশেষ মানুষ নয়। সাধারণ মানুষও এখন পড়েছেন বিপাকে।
ফেসবুক সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষ এর মাধ্যমে বেশ সোচ্চার।
বিশেষজ্ঞগণ ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নিরাপদ রাখার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন জানিয়েছে আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো ।
> যেখানে একই কম্পিউটার অনেকেই ব্যবহার করেন। সেখানে আপনাকে ফেসবুক ব্যবহার করার পর লগ আউট করতে হবে। আপনি যদি ভুলে গিয়ে থাকেন, আপনার ফোন বা অন্য কোনো কম্পিউটারে Facebook-এ লগইন করুন এবং আপনি শেষবার কোথায় লগইন করেছেন তা দেখতে নিরাপত্তা ও লগইন সেটিংসে যান। সেখানে আপনি ডিভাইসটি শনাক্ত করতে পারবেন এবং লগ আউট করতে পারবেন।
> ফেসবুকের লগইন তথ্য যেমন ইমেইল ফোন নাম্বার -পাসওয়ার্ড ফেসবুক ছাড়া অন্য কোথাও প্রবেশ করা যাবে না। অনেক সময় স্ক্যামাররা ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে এবং লগইন ইমেল বা ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড চাইতে পারে। এক্ষেত্রে প্রথমে ওয়েবসাইটের URL চেক করুন। ফেসবুকের বাইরে অন্য কোনো word থাকলে যেমন www.facebook.com এটা না থাকলে কখনোই সেই লিংকে আপনার ইমেইল পাসওয়ার্ড দিবেন না ।
> ফেসবুকের পাসওয়ার্ড অন্য কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয় বা কারো সাথে শেয়ার করা ঠিক নয়। পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই ছোট হাতের অক্ষর,, বড় হাতের অক্ষর , বিভিন্ন ধরনের সংকেত যেমন # & @ % £ এবং কমপক্ষে 6টি সংখ্যার সংমিশ্রণ হতে হবে, যাতে কেউ সহজেই অনুমান করতে না পারে।
> ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর অপশন চালু করে রাখুন। আপনার পাসওয়ার্ড জানা থাকলেও আপনার অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করতে পারবে না। পাসওয়ার্ড জানার পর কেউ যদি প্রবেশ করতে দেয় তাহলে আপনার ইমেইলে অথবা ফোনে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে । আর সেই কোড না বসানো পর্যন্ত আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবে না । তাই টু-ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশন চালু করার সময় অবশ্যই নিজের নাম্বার ও ইমেইল আইডি ব্যবহার করবেন ।
> ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকের পরামর্শ হল, আপনি যাকে জানেন না তাকে কখনোই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবেন না। এই ক্ষেত্রে, হ্যাকাররা আপনার টাইমলাইনে স্প্যাম ছড়িয়ে দিতে পারে আপনাকে আপনার বন্ধু হিসাবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে, আপনাকে বিব্রতকর পোস্টে ট্যাগ করে বা হ্যাকিং বার্তা পাঠিয়ে।
> কোনো সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। আপনি যদি কোনও ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা ফেসবুক বন্ধুর কাছ থেকে কোনও ইমেল, মেসেঞ্জার বার্তা বা পোস্ট পান, যা তার স্বাভাবিক আচরণের সাথে নাও মিলতে পারে, তবে এটিতে ক্লিক করা বা প্রতিক্রিয়া না দেওয়াই ভাল।
> ফেসবুকের সিকিউরিটি অ্যান্ড লগইন পেজে গিয়ে দেখতে পারেন, আপনার আইডি কোনো কোনো ডিভাইসে লগইন করা হয়েছে। অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার জন্য কিছু বাড়তি ব্যবস্থার পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুক। এই সব আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা এবং লগইন পৃষ্ঠায় আছে.
> ফেসবুকের ডান পাশের সাইনটিতে ক্লিক করে সিকিউরিটি এন্ড লগইন অপশন এ প্রবেশ করে লগইন করতে পারবেন। অন্যদিকে, সতর্কতা হিসেবে ফেসবুক দ্বি-স্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু এবং অন্তত তিনজন বন্ধু নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছে।
আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলো নিরাপদ থাকুক এই কামনয় আজ শেষ করছি । আরো বিস্তারিত জানার জন্য ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও রয়েছে সেগুলো দেখে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারেন ।