রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিলাসবহুল জীবনযাপন
ধন-সম্পদে ভরপুর এক জীবন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। তার রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিলাসবহুল বাড়ি। তার ব্যক্তিগত বিমানের টয়লেটও সোনায় মোড়ানো। । তার আছে 5 থেকে 6 টি প্রাইভেট জেট বিমান । এমনকি তার রাজপ্রাসাদ ক্রেমলিন তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় 2 বিলিয়ন মার্কিন ডলার । এত দামি বাড়ি পুরো পৃথিবীতে খুব কমই আছে। শোনা যায় পুতিনের নাকি ডজনখানেক সুন্দরী গার্লফ্রেন্ডও আছে। হাতের ঘড়ি থেকে উড়োজাহাজ পর্যন্ত তার সবকিছুতেই রয়েছে বিলাসিতার ছাপ। বন্ধুরা আজকে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিলাসবহুল জীবনযাপন সম্পর্কে জানব।
Vladimir Putin's luxurious lifestyle
বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের থেকে পুতিনের বিমানের গতি অনেক বেশি। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এয়ারফোর্স ১ এর চেয়েও এর গতি অনেক বেশি। তার বিমান প্রতি ঘন্টায় 1035 কিলোমিটার স্পিডে ছুটতে পারে। অন্যদিকে বাইডেনের বিমানের গতি ঘণ্টায় মাত্র 451 কিলোমিটার।
চোখ ধাঁধানো সাজসজ্জার আরো বেশ কয়েকটি ব্যাক্তিগত বিমান রয়েছে পুতিনের । দু'বছর আগে ট্রাম্পের সাথে মিটিংয়ের উদ্দ্যেশ্যে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসেনকিতে তে এমন একটি বিমানে করে গিয়েছিলেন পুতিন। পুতিনের এই বিমানের ভিতরের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছিল ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স। সে ছবিগুলোতে দেখা যায় পুতিনের প্রাসাদ ক্রেমলিনে যতপ্রকার সুযোগ সুবিধা আছে তার সব রকম সুযোগ-সুবিধা আছে পুতিনের এই বিমানে।
পুতিনের এই বিমানটি যেন একটি রাজপ্রাসাদ। সবকিছু সাজানো গোছানো পরিপাটি । বিমানটিতে একটি রান্নাঘর ডাইনিং, অফিস রুম, কনফারেন্স রুম, বেডরুম এমনকি ব্যায়াম করার জন্য একটি জিমও আছে। 65 বছর বয়সী পুতিনের শরীরকে ফিট রাখতে প্রতিদিন 2 ঘন্টা করে জিম করেন পুতিন। দেশের বাইরে গেলেও যেন তার ব্যায়াম করা বাদ না যায় এর জন্য বিমানের ভিতরে ছোট্ট একটি জিম তৈরি করে রেখেছেন পুতিন।
এবার চলুন আমরা পুতিনের রাজপ্রাসাদটি একটু দেখে নেই। পুতিনের রাজপ্রাসাদটি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর তে অবস্থিত। তার প্রাসাদটির নাম ক্রেমলিন। কি নেই তার এই প্রাসাদে। পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রাসাদ হিসেবে ধরা হয় এটিকে। সব মিলিয়ে প্রায় দুই বিলিয়ন ইউ এস ডলার খরচ হয়েছে এই প্রাসাদটি তৈরি করতে। পুতিনের এই রাজপ্রাসাদ ক্রেমলিনের বাউন্ডারি প্রায় 17 কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। আর এই রাজপ্রাসাদটি সুরক্ষার জন্য পুতিন আলাদা একটি বাহিনী তৈরি করে রেখেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভবন হোয়াইট হাউস থেকেও পুতিনের এই প্রাসাদ বেশি সুরক্ষিত।
বিলাসী পুতিনের ঘড়ির তালিকায় রয়েছে প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চেয়েও বেশি মুল্যের ঘড়ির সমারোহ। পুতিনের হাতে দেখা গেছে প্যাটেক কোম্পানির 60 হাজার ডলারের চেয়েও বেশি মূল্যের ঘড়ি। এছাড়াও পুতিন স্বর্ণ ও হীরার তৈরি ঘড়ি ব্যবহার করে থাকেন। যার দাম প্রায় 50 লাখ ইউএস ডলার। বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় 42 কোটি । পুতিন একটি ঘড়ি ব্যবহার করতে 42 কোটি টাকা খরচ করেন ভাবা যায় রটা।
এইসব ছাড়াও পুতিনের রয়েছে তিন-চারটি প্রমোদ তরী। যার মধ্যে একটি তিনি রাশিয়ার অন্যতম ধন কুবের এলেক্স ম্যাক্রভের কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলেন । পুতিনের সবথেকে বড় প্রমোদ তরীটি ১৭৫ ফুট লম্বা। যার মুল্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার । বর্তমানে পুতিনের ৭০০ টি নামীদামী ব্রান্ডের গাড়ি রয়েছে । যার মধ্যে মারসিটিস , বিএমডব্লিউ ,ফেরারী, রোলস রয়েস ইত্যাদি ব্র্যান্ডের গাড়ি অন্যতম। তবে পুতিন তার নিজ দেশে তৈরি করা গাড়ি বেশি পছন্দ করে থাকেন।
ভ্লাদিমির পুতিনের মোট ৪৩টি উড়োজাহাজ আছে । এগুলোর বাজার মূল্য প্রায় 1 বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রাশিয়ার সবথেকে বড় প্রসাদ ক্রেমলিন সহ রাশিয়াতে তার আরো ২০ টির বেশি বাড়ি রয়েছে। যেগুলোর প্রতিটিই প্রায় রাজপ্রাসাদের মতো। এসব ছাড়াও পুতিনের রয়েছে 15 টি প্রাইভেট হেলিকপ্টার । যার মধ্যে mi8 মডেলের হেলিকপ্টার অন্যতম।
পুতিনের সোনার তরী টয়লেট নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সমালোচনার ঝড় উঠেছে । পুতিনের ঐ সোনার তৈরি টয়লেটের দাম প্রায় 5 লক্ষ ইউএয ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় হয় প্র্যয় ৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা । একটা বাথরুমের পিছনে তিনি এত টাকা খরচ করেছেন। ভাবা যায় এটা।
পুতিনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় তার কৃষ্ণ সাগরের পাড়ে তৈরি বিশাল বাড়িটি নিয়ে। এই বাড়িটি তৈরি করতে পুতিনের খরচ হয়েছে প্রায় 1 বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পুতিনের এই বাড়িটি তৈরি করা থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ সবকিছু নিয়েই ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। তবে পুতিনের এই বাড়ির ভিতরে কি আছে সে যম্পর্কে খুব একটা তথ্য পাওয়া যায় নি।
তবে পারিবারিক জীবঅনে পুতিন খুব একটা সুখে নেই । ইতিমধ্যেই তার স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হয়ে গেছে । পুতিনের দুটি মেয়ে আছে । এছাড়াও নাকি পুতিনের বেশ কয়েকটি সুন্দরী গার্লফ্রেন্ড রয়েছে।
যার মধ্যে বে্শি আলোচনা হয় এলিনা কে নিয়ে।
এবার প্রশ্ন হলো পুতিনের এত টাকা থাকার পরেও বিশ্বের ধনীদের তালিকায় কেন পুতিনের নাম আসে না। এর কারণ হচ্ছে পুতিনের কোন সম্পত্তিই সরাসরি তার নিজের নামে নেই। আর পুতিনের এত সম্পত্তি অর্জনের বৈধ কোন ইনকাম সোর্সও নেই। তবে বর্তমানে পুতিন বেশকিছু ব্যবসা শুরু করেছেন।
পুতিনের বাৎসরিক ইনকাম হলো মাত্র 1 লাখ ইউএস ডলার। অর্থাৎ পুতিনের পুরো এক বছরের আয় বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮৫ লাখ টাকা যেখানে তার একটি বাড়ির মুল্যই প্রায় ১৭,হাজার কোটি টাকার উপরে । কেমন সম্ভব গুরু। পারেনও আপনারা।
এমনও শোনা যায় যে ,বাস্তবে পুতিনের কাছে যে পফিমান অর্থ সম্পত্তি রয়েছে তাতে পুতিন্ হবেন বিশ্বের এক নাম্বার ধনী ব্যক্তি। বন্ধুরা এই বিষয়ে আপনার মতামত কি তা করেন্টস করে আমাদের জানান।