Kim Jong Un's secret information

 উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকে তো আপনারা অনেকেই চেনেন। তার দেশে সামান্য কিছু নিয়ম ভঙ্গ করলেই মৃত্যু  দণ্ডের শাস্তি পর্যন্ত দেওয়া হয়। এদেশের মানুষ দের বাড়ির বাইরে যেতে হলেও সরকারের অনুমতি নিতে হয়। এমনকি সেখানে কেউ ওয়াইফাই অন করলে 4 হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এই দেশে যদি কোন মেয়ে  জিন্স পড়ে তাহলে তাকে জেলে যেতে হয় এবং তার উপর খুবই অত্যাচার করা হয়।

এদেশে যদি কেউ পর্ন ভিডিও দেখতে গিয়ে ধরা খায় তাহলে তাকে সোজা ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।  কিম জং উন হলো একজন পাগলাটে ধরনের শাসক। সে যেখানে সেখানে পারমানবিক বোমা ফাটিয়ে দেয়। আর তার কাছে পারমাণবিক বোমা খেলনার মতো মনে হয়। এমনকি কিং জং উন তার দেশের মেয়ে সৈন্যদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করে থাকেন। অবাক হওয়ার কিছুই নেই। \

আজকে আমরা কিম জং উন ও উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে বেশ কিছু গোপন তথ্য আপনাদের জানাতে চলেছি ।



উত্তর কোরিয়া এমন একটি দেশ যে দেশে শুধু  মাত্র কিম জং-উনের হুকুম চলে। সেখানকার জনগণের কথা একটুও চিন্তা করে না কেউ। কিম জং উন তার খুশির জন্য যে কারো জীবন নিয়ে নিতে পারে। এদেশে কাপড় পড়া থেকে শুরু করে ইন্টারনেট চালানো। সবকিছুরই একটা নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। আর নিয়ম ভঙ্গ করলেই যেতে হয় জেলে।

বন্ধুরা আপনারা জানলে অবাক হবেন। উত্তর কোরিয়ায় পাঁচ বছর পর পর ঠিকই নির্বাচন হয় মানুষ ভোটও দেয়। আর কিম জং-উনই প্রতিবার জয় লাভ করে। আর এর কারণ হচ্ছে নির্বাচনে মাত্র একজন ব্যক্তিই প্রার্থী থাকে আর তিনি হচ্ছেন হচ্ছেন কিম জং উন। তার ভয়েও প্রতিপক্ষ হিযেবে কেউ প্রার্থী হয় না। তাই ভোট দিতে হলে কিমকেই ভোট দিতে হয়। এ ছাড়া দ্বিতীয় কোন অপশন নেই। এই নির্বাচনটি শুধু বহির্বিশ্বকে দেখানোর জন্য নামেমাত্র নির্বাচন হয়ে থাকে । বর্তমানে উত্তর কোরিয়ায় যে সরকার ক্ষমতায় আছে এই সরকার সেই ১৯৪৮ সাল থেকেই ক্ষমতায় আছেন ।

বন্ধুরা এবার আমি আপনাদের যে তথ্যটি জানাতে চলেছি তা শুনে হয়ত আপনার খুবই খারাপ লাগতে পারে। কিম জং উনের বয়স বর্তমানে 40+ বছর। কিন্তু তিনি এখনও স্কুল কলেজের মেয়েদের সাথে রাত কাটাতে পছন্দ করেন। হ্যাঁ বন্ধুরা শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। যখনই কোন মেয়ের বয়স 13 পার হয়ে যায় তখনই সেই মেয়েকে নিয়ে কিম রঙ্গলীলা শুরু করে।

উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া একটি মেয়ের বক্তব্য থেকে জানা যায় কিম সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তাকে ভোগ করার জন্য পাগল হয়ে যেত। সে সুন্দরী মেয়েদের সবসময়ই লালসার দৃষ্টিতে দেখে থাকে। কিম জং উন এর সাথে রাত কাটানোর জন্য 13 বছর মেয়েদের একটি বিশেষ গ্রুপ তৈরি করা হয়। তারপর তাদেরকে ট্রেনিং দিয়ে স্পেশাল ভাবে তৈরি করা হয়। আর মেয়েদেরকে এমনভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয় যাতে তারা কিমের  মতের বিরুদ্ধে না যায়। দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া ঐ মেয়েটি আরো বলেন। কিং প্রতিদিন নতুন নতুন মেয়েদের সাথে রাত কাটাতো। এভাবে হাজারো মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে কিম জং উন।

কিম জং উন প্রতিবছর শুধু তার পছন্দমত খাবার  খেতে প্রায় 300 কোটি টাকা ব্যয় করে থাকে।  কিং জং উন পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ও লিমিটেড ব্রান্ডের মদ পান করে থাকেন। সে সকাল দুপুর এবং রাতে  বিভিন্ন ধরনের মদ পান করে থাকেন। কিমের সকাল শুরু হয় ফ্রান্সের তৈরি করা সবথেকে দামি মদ দিয়ে। আর এই ধরনের এক বোতল মদের দাম প্রায় দুই কোটি টাকা।

আর সে সন্ধ্যায় খায় রাশিয়ান মদ। তাই প্রতি বছর রাশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে মদ আমদানি করে থাকে কিম জং উন। আর কিম জং-উন রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে বেত নামক এক ধরনের স্পেশাল মদ পান করে থাকেন। কিম সব সময় নন ভেজিটেবিল জাতীয় খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে থাকেন ।

আর ভেজটাবল জাতীয় খাবার তার দুচোখের অনেকটা শত্রুই বলা যায়। কিম তার সবচেয়ে প্রিয় খাবার বগাইরাম কে জাপান থেকে অর্ডার করে নিয়ে আসেন। আর এই খাবারের পিছনে কিমের প্রতিবছর 4 থেকে 5 কোটি টাকা খরচ হয়ে থাকে।

এছাড়াও কিম আরও বিভিন্ন ধরনের নন ভেজিটেবিল জাতীয় খাবার চায়না ও ডেনমার্ক থেকে অর্ডার দিয়ে আনিয়ে থাকেন। তাছাড়া অন্যান্য খাবারের মধ্যে কিম ব্লাক চিকেন সার্কের স্যুপ ব্রাজিলিয়ান কফি ইত্যাদি বেশি পছন্দ করে থাকেন। আর এই সব খাবারের পেছনেই কিম প্রতিবছর 200 থেকে 300 কোটি টাকা খরচ করে থাকেন।

কিম এত দামী দামী খাবার খায় কিন্তু তার দেশে অনেক মানুষ আছে যারা এখনও দুই বেলা পেট ভরে খেতেও পারে না। কিমের মন যা চায় তাই সে করে থাকে। আর কেউ তার বিরোধিতা করে তাহলে  সাথে সাথে  সে তাকে মেরে ফেলে বলে শোনা যায়।

 কিম জং-উনের বিরুদ্ধে ণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায় ।।আপনারা  ভিডিওটিতে যে মেয়েটিকে দেখতে পাচ্ছেন এই মেয়েটিকেও কিম জং-উন ধর্ষণ করেছেন। বর্তমানে এই মেয়েটি উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে।

কিম জং উন কতটা ভয়ঙ্কর ততটা পরিবর্তনশীল। সে কখন কোন মেয়েকে পছন্দ করে আর কখন কোন লোককে মেরে ফেলে তা কেউই বুঝতে পারেনা। কিম তার দেশের সেনাবাহিনীকে অনেক রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। যা অন্য কোন দেশের সৈন্যদের সাধারণত দেয়া হয় না।

বলা হয় উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং কিম তার সেনাবাহিনীর নামে করে দিয়েছে। সেখানে উত্তর কোরিয়ার কোন সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারে না। আপনাদের আরেকটি তথ্য জানিয়ে রাখি। উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে কোন গরীব মানুষকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। গরিব মানুষদের সে মানুষই মনে করে না।

উত্তর কোরিয়ার রাজধানী কিম জং উন নিজের আড্ডাখানা বানিয়ে রেখেছে । সেখানে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সেইসব মেয়ে সৈন্যদের পাঠানো হয় যাদের সাথে কিম আগেই রাত কাটিয়ে ছিল। তার বিভিন্ন ধরনের কুকৃতি ঢাকার জন্য রাজধানীতে কোন সাধারণ মানুষ ঢুকতে দেওয়া হয় না।

এইসব ছাড়াও কিম পুরো উত্তর কোরিয়ায় আজব আজব সব নিয়মকানুন বানিয়ে রেখেছে। যেমন তার মত করে কেউ চুল কাটতে পারবে না। কেউ জিন্স পরতে পারবে না। কেউ পর্ন ভিডিও দেখতে পারবেনা এমনকি কিম জং-উনের নামেও কেউ নামও রাখতে পারবে না।

কি জং উন আগে খুবই চিকন ছিল। কিন্তু সে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই অনেক মোটা হয়ে যায়। তিনি মনে করে চিকন মানুষেরা প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা রাখে ন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা  শুধুমাত্র মোটা মানুষদেরই আছে । এসব ছাড়াও সে কোন কিছু উদ্বোধন করতে গেলেই পারমানবিক বোমা ফাটিয়ে তা উদ্বোধন করেন। আর এ কারণেই তাকে সবাই পাগলা প্রেসিডেন্ট বলে থাকেন।

বন্ধুরা কিম কিম জং-উনের এই ব্যতিক্রমধর্মী স্বভাবের কথা জেনে আপনার কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট করে জানান

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url