বাংলাদেশ কি দেউলিয়া হবে ?
শ্রীলংকা। এইতো বছর পাঁচেক আগেও ভারত-পাকিস্তান এমন কি বাংলাদেশ থেকেও মাথাপিছু আয় এগিয়ে ছিল। তাদের মাথাপিছু আয় ছিল প্রায় 4 হাজার ডলারের উপরে । সেই শ্রীলঙ্কা আজ বৈদেশিক
ঋণের দায়ে জর্জরিত। সে দেশের জনগণ আজ খাবার না পেয়ে না খেয়ে লোডশেডিং এর জন্য অন্ধকার ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছে । সে দেশে এক কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে পাঁচশত টাকায় । 1 লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে বারোশো টাকার উপরে । আর এক কাপ চা খেতে সেখানে গুনতে হচ্ছে এর শত টাকা। জ্বালানি তেলের অভাবে সমস্ত পাবলিক সার্ভিস (চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ।
কাগজের অভাবে স্কুল-কলেজগুলোতে সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। শ্রীলঙ্কার মতো এমন একটি উন্নয়নশীল দেশে এমনটা হওয়ার কিন্তু কথা ছিল না। স্বাধীনতার পর শ্রীলঙ্কা এই প্রথম তীব্র অর্থ সংকটে পড়েছে। আর তা দেখে ঘুম চলে গিয়েছে বাংলাদেশের। তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিও কি ভরাডুবির পথে। শ্রীলংকার এই দুরবস্থা থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা নেওয়ার আছে।
ভারত মহাসাগরে ঢুবতে বসেছে শ্রীলংকার অর্থনীতি । আর বঙ্গোপসাগরের তীরে দাঁড়িয়ে তা দেখছে বাংলাদেশ। তবে শ্রীলংকার কঠিনতম বিপদ থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা নেওয়ার মতো অনেক কিছুই রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদরা বলছেন শ্রীলংকার মত হাড়ির হাল বাংলাদেশের এখনো হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির যে খুব একটা স্বস্তিতে রয়েছে তাও কিন্তু নয়। শ্রীলঙ্কায় কিন্তু খুব স্বল্প সময়ে অর্থনীতির অবস্থার অবনতি হয়েছে। আর শ্রীলংকার এই অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণ জানতে উপরের আই বাটন থেকে ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন ।
শ্রীলংকা আর বাংলাদেশের অর্থনীতির দুর্বল দিক একই। এদেশ স্বল্প শুল্কে হাতেগোনা কয়েকটি পণ্য রপ্তানি করে তার উপর নির্ভরশীলএবং স্বল্প পরিমাণে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের উপর দাঁড়িয়ে আছে, যার ফলে আশঙ্কা একটা থেকেই যায়। গত বছরের জিডিপি অনুযায়ী মাথাপিছু আয়ে ভারতকে টপকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই।
করণা, কাবুল এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে বেশ অপত্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে । আর এর প্রভাব বাংলাদেশ কেও নাড়িয়ে দিয়েছে । বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করত । আর যার মাধ্যমে দেশের রেমিটেন্স অর্জিত হতো ।। কিন্তু করোনাকালে তাদের বেশিরভাগই কাজ হারিয়ে দেশে ফিরেছে। ফলে এদেশে বেকারের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেখা গিয়েছে শ্রীলংকার প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ কয়েক মিলিয়ন এর মধ্যে আটকে রয়েছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বেশি রয়েছে। শ্রীলংকার 88 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি শুধুমাত্র পর্যটন এবং পোশাক শিল্পের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। যা এটিকে বিদেশ নির্ভরশীল করে তুলেছে।
আর এদিকে বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য মার খেয়েছে এবং প্রবাসী কর্মীদের থেকেও আশা অনুরূপ রেমিটেন্স আসে নি । যার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুব একটা ভালো পরিমাণে গড়ে ওঠেনি। অর্থাৎ শ্রীলংকার মত বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার যোগান কমেছে ।
বাংলাদেশও কিন্তু খাদ্য সুরক্ষার স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশকে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় । তাদের মধ্যে অন্যতম হলো ভোজ্য তেল ।
করোনার আগে বিশ্ব বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি সাড়ে 700 ডলার। এখন তা প্রায় 2000 ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আর বাংলাদেশে নিজেদের চাহিদার 95% ভোজ্যতেল আমদানি করে থাকে বিদেশ থেকে। সেই বাবদ তিনগুণ দাম দিতে হচ্ছে এই ভোজ্যতেল আমদানি করতে। এর ফলে হু হু করে কমছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়। যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। যেমনটা বৈশ্বিক কোভিট পরিস্থিতিতে শ্রীলংকার ক্ষেত্রে ঘটেছিল।
ভোজ্যতেলের পাশাপাশি পেট্রোপণ্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ। কিন্তু গোটা দেশের চাহিদা মেটানোর মতো গ্যাস উৎপাদনের অবকাঠামো বাংলাদেশের নেই। তী লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসও বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয়। আর তার দামও আগের তুলনায় 12 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ।
এই সমস্ত কিছুর প্রভাবে বাজারে মুদ্রাস্ফীতি হার 6.7% ছাড়িয়ে গিয়েছে। দুধ ডিম ও চিনি সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ঢাকা শহরের বাড়ি ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। সাড়ে তিন কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। বাংলাদেশের 15 কোটি জনসংখ্যার কথা মাথায় রাখলে দারিদ্র্যের হার এর নিরিখে তা যথেষ্ট বেশি।
এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে বাঁচিয়ে রাখতে অন্য সহায়তা প্রকল্প চালু রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। এক কোটি পরিবার এই এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন পাবে। তাতে পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।
কিন্তু এখন প্রশ্ন সরকারই বা এভাবে কতদিন টানতে পারবে। তার ওপর বাংলাদেশের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে চিনা ঋণ। শ্রীলংকার মোট ঋণের পরিমাণ ধরলে চীনের কাছে দেনা তেমন নয়। তাতেই চীনের চাপে ধুঁকছে শ্রীলংকা। আর বাংলাদেশ-চীনের থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে বসে রয়েছে। এশিয়ায় পাকিস্তানের পর বাংলাদেশেই চীন সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে।
বাংলাদেশের অবকাঠামোর প্রায় চার হাজার কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাবনা রয়েছে চীনের কছে।বর্তমানে বাংলাদেশের নয়টি প্রকল্প চীনের লগ্নিতে চলছে। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য পদ্মা সেতু প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল এবং দশেরকান্দি নিকাশি প্রকল্প। আগামী দিনে এই ঋণের সব অর্থ সুদে আসলে আদায় করবে চীন।
কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধ হবে কোন পথে। এর উত্তর জানা নেই কারোরই। তার উপর আবার দেশের প্রতিটি সেক্টরেই রয়েছে দুর্নীতিতে ভরা । একটা কথা মাথায় রাখবেন , একটি গাড়ি যখন উপর থেকে নিচে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তখন গাড়িটি যত নিচে নামতে থাকে তখন তার পতনের গতিও বেশি তীব্র হতে থাকে এবং তখন আর কারোরইকিছুই করার থাকেনা। তবে বাংলাদেশের পতন এখনো সে পর্যন্ত যায়নি। তবে ভবিষ্যতে সতর্ক না হলে শ্রীলংকার চেয়েও বেশি বেহালদশা হতে পারে বাংলাদেশের ।
এই বিষয়ে আপনার মতামত কি তা আমাদের কমেন্টস করে জানান । ধন্যবাদ সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।
ঋণের দায়ে জর্জরিত। সে দেশের জনগণ আজ খাবার না পেয়ে না খেয়ে লোডশেডিং এর জন্য অন্ধকার ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছে । সে দেশে এক কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে পাঁচশত টাকায় । 1 লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে বারোশো টাকার উপরে । আর এক কাপ চা খেতে সেখানে গুনতে হচ্ছে এর শত টাকা। জ্বালানি তেলের অভাবে সমস্ত পাবলিক সার্ভিস (চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ।
কাগজের অভাবে স্কুল-কলেজগুলোতে সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। শ্রীলঙ্কার মতো এমন একটি উন্নয়নশীল দেশে এমনটা হওয়ার কিন্তু কথা ছিল না। স্বাধীনতার পর শ্রীলঙ্কা এই প্রথম তীব্র অর্থ সংকটে পড়েছে। আর তা দেখে ঘুম চলে গিয়েছে বাংলাদেশের। তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিও কি ভরাডুবির পথে। শ্রীলংকার এই দুরবস্থা থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা নেওয়ার আছে।
ভারত মহাসাগরে ঢুবতে বসেছে শ্রীলংকার অর্থনীতি । আর বঙ্গোপসাগরের তীরে দাঁড়িয়ে তা দেখছে বাংলাদেশ। তবে শ্রীলংকার কঠিনতম বিপদ থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা নেওয়ার মতো অনেক কিছুই রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদরা বলছেন শ্রীলংকার মত হাড়ির হাল বাংলাদেশের এখনো হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির যে খুব একটা স্বস্তিতে রয়েছে তাও কিন্তু নয়। শ্রীলঙ্কায় কিন্তু খুব স্বল্প সময়ে অর্থনীতির অবস্থার অবনতি হয়েছে। আর শ্রীলংকার এই অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণ জানতে উপরের আই বাটন থেকে ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন ।
শ্রীলংকা আর বাংলাদেশের অর্থনীতির দুর্বল দিক একই। এদেশ স্বল্প শুল্কে হাতেগোনা কয়েকটি পণ্য রপ্তানি করে তার উপর নির্ভরশীলএবং স্বল্প পরিমাণে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের উপর দাঁড়িয়ে আছে, যার ফলে আশঙ্কা একটা থেকেই যায়। গত বছরের জিডিপি অনুযায়ী মাথাপিছু আয়ে ভারতকে টপকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই।
করণা, কাবুল এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে বেশ অপত্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে । আর এর প্রভাব বাংলাদেশ কেও নাড়িয়ে দিয়েছে । বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করত । আর যার মাধ্যমে দেশের রেমিটেন্স অর্জিত হতো ।। কিন্তু করোনাকালে তাদের বেশিরভাগই কাজ হারিয়ে দেশে ফিরেছে। ফলে এদেশে বেকারের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেখা গিয়েছে শ্রীলংকার প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ কয়েক মিলিয়ন এর মধ্যে আটকে রয়েছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বেশি রয়েছে। শ্রীলংকার 88 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি শুধুমাত্র পর্যটন এবং পোশাক শিল্পের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। যা এটিকে বিদেশ নির্ভরশীল করে তুলেছে।
আর এদিকে বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য মার খেয়েছে এবং প্রবাসী কর্মীদের থেকেও আশা অনুরূপ রেমিটেন্স আসে নি । যার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুব একটা ভালো পরিমাণে গড়ে ওঠেনি। অর্থাৎ শ্রীলংকার মত বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার যোগান কমেছে ।
বাংলাদেশও কিন্তু খাদ্য সুরক্ষার স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশকে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় । তাদের মধ্যে অন্যতম হলো ভোজ্য তেল ।
করোনার আগে বিশ্ব বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি সাড়ে 700 ডলার। এখন তা প্রায় 2000 ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আর বাংলাদেশে নিজেদের চাহিদার 95% ভোজ্যতেল আমদানি করে থাকে বিদেশ থেকে। সেই বাবদ তিনগুণ দাম দিতে হচ্ছে এই ভোজ্যতেল আমদানি করতে। এর ফলে হু হু করে কমছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়। যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। যেমনটা বৈশ্বিক কোভিট পরিস্থিতিতে শ্রীলংকার ক্ষেত্রে ঘটেছিল।
ভোজ্যতেলের পাশাপাশি পেট্রোপণ্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ। কিন্তু গোটা দেশের চাহিদা মেটানোর মতো গ্যাস উৎপাদনের অবকাঠামো বাংলাদেশের নেই। তী লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসও বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয়। আর তার দামও আগের তুলনায় 12 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ।
এই সমস্ত কিছুর প্রভাবে বাজারে মুদ্রাস্ফীতি হার 6.7% ছাড়িয়ে গিয়েছে। দুধ ডিম ও চিনি সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ঢাকা শহরের বাড়ি ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। সাড়ে তিন কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। বাংলাদেশের 15 কোটি জনসংখ্যার কথা মাথায় রাখলে দারিদ্র্যের হার এর নিরিখে তা যথেষ্ট বেশি।
এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে বাঁচিয়ে রাখতে অন্য সহায়তা প্রকল্প চালু রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। এক কোটি পরিবার এই এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন পাবে। তাতে পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।
কিন্তু এখন প্রশ্ন সরকারই বা এভাবে কতদিন টানতে পারবে। তার ওপর বাংলাদেশের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে চিনা ঋণ। শ্রীলংকার মোট ঋণের পরিমাণ ধরলে চীনের কাছে দেনা তেমন নয়। তাতেই চীনের চাপে ধুঁকছে শ্রীলংকা। আর বাংলাদেশ-চীনের থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে বসে রয়েছে। এশিয়ায় পাকিস্তানের পর বাংলাদেশেই চীন সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে।
বাংলাদেশের অবকাঠামোর প্রায় চার হাজার কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাবনা রয়েছে চীনের কছে।বর্তমানে বাংলাদেশের নয়টি প্রকল্প চীনের লগ্নিতে চলছে। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য পদ্মা সেতু প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল এবং দশেরকান্দি নিকাশি প্রকল্প। আগামী দিনে এই ঋণের সব অর্থ সুদে আসলে আদায় করবে চীন।
কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধ হবে কোন পথে। এর উত্তর জানা নেই কারোরই। তার উপর আবার দেশের প্রতিটি সেক্টরেই রয়েছে দুর্নীতিতে ভরা । একটা কথা মাথায় রাখবেন , একটি গাড়ি যখন উপর থেকে নিচে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তখন গাড়িটি যত নিচে নামতে থাকে তখন তার পতনের গতিও বেশি তীব্র হতে থাকে এবং তখন আর কারোরইকিছুই করার থাকেনা। তবে বাংলাদেশের পতন এখনো সে পর্যন্ত যায়নি। তবে ভবিষ্যতে সতর্ক না হলে শ্রীলংকার চেয়েও বেশি বেহালদশা হতে পারে বাংলাদেশের ।
এই বিষয়ে আপনার মতামত কি তা আমাদের কমেন্টস করে জানান । ধন্যবাদ সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।