হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় যে ৫টি খাবার
হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় যে ৫টি খাবার
জীবন ব্যবস্থাপনায় সচেতন ও সতর্ক না হলে যে কোনো বয়সেই হৃদরোগ হতে পারে। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। তবে ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় অজান্তেই হার্টের সমস্যা দেখা দেয়।
বেশিরভাগ খাবারেই হার্টের সমস্যা পর্যবেক্ষণ করা উচিত। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত খাবারের কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। এবার জেনে নেওয়া যাক হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এমন সব খাবার সম্পর্কে।
কোমল পানীয়: || হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
গরমে আরাম পেতে অনেকেই কোমল পানীয় পান করেন। এটি সাময়িক স্বস্তি দিলেও শরীরের ভিতরের জন্য ক্ষতিকর। কোমল পানীয়ের রাসায়নিকগুলি অন্ত্রের ক্ষতি করে। আর এসব পানীয় নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এ জন্য বেশি সোডা, কোমল ও রঙিন পানীয় পান না করাই ভালো।
লবণ: || হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের একটি প্রধান কারণ। কারণ চিকিৎসকরা হার্ট সুস্থ রাখতে কাঁচা লবণ খেতে নিষেধ করেছেন। বিশেষ করে যাদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের মারাত্মক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে কাঁচা লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
সাদা রুটি: || হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
সকালের নাস্তা বা অফিসের টিফিনে অনেকেই সাদা রুটি খান। চিকিৎসকদের মতে, সাদা রুটি খেলে স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ হতে পারে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত খাওয়ার সাহায্যে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বুকজ্বালা পান। এতে ফাইবার ও প্রোটিন কম থাকায় এটি দ্রুত হজম হয় না। এ কারণে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়। এ জন্য রুটি না দিয়ে ব্রাউন ব্রেড খাওয়া যেতে পারে।
ভাত: || হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
সুস্থ থাকতে ভাত খাওয়া খুবই জরুরি। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভাত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। ভাতে মাড়ের পরিমাণ বেশি থাকে। আর স্টার্চ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ কারণে চিকিৎসকরাও বেশি আলু খেতে নিষেধ করেন।
সিরিয়াল জাতীয় খাবার: হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
অনেকেই কর্নফ্লেক্স, মুসলির মতো সিরিয়াল খান। কেউ কেউ মনে করেন এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, এ ধরনের খাবারে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। আর চিনি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এ ধরনের খাবার না খাওয়াই ভালো।
তাই সকলের প্রতি অনুরোধ থাকলো, উপরোক্ত খাবারগুলো যতসম্ভব পারেন কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনার হূদরোগ হবার সম্ভাবনা মোটামুটি কমই থাকবে।