কাঁঠালের যত পুষ্টিগুন | কাঁঠালের উপকারিতা

কাঁঠালের ১৮টি উপকারিতা

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। কাঁঠাল এর ইংরেজী হল  (Jackfruit) ।বাংলাদেশের সর্বত্রই কমবেশি ঠাকাঁঠাল পাওয়া যায়। এটি বসন্ত ও গ্রীষ্মের প্রথম দিকে এবং গ্রীষ্ম ও বর্ষায় পাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। কাঁঠাল সাধারনত আকারে বেশ বড় হয়ে থাকে। এতে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। 4-5 কোয়া কাঁঠাল থেকে 100 কিলোক্যালরি খাদ্য শক্তি পাওয়া যায়। এর হলুদ কোষ ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। 2-3 কোয়া কাঁঠাল আমাদের প্রতিদিনের ভিটামিন এ-এর চাহিদা পূরণ করে। তাই অপুষ্টি এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে কাঁঠাল খুবই উপকারী একটি ফল। 
 
কাঁঠাল শিশু-কিশোর, কিশোর-কিশোরী এবং নারী-পুরুষ সকল শ্রেণীর জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। কাঁঠাল গর্ভবতী এবং বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য একটি উপকারী ফল। শরীরে ভিটামিন এ-এর অভাব হলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। শরীরের লাভণ্যতা হারিয়ে যাওয়া থেকে এটি প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়া কাঁঠালে ভিটামিন সি এবং কিছু ভিটামিন বি থাকে। 
 
পাকা কাঁঠাল যেমন উপকারী, তেমনি কাঁচা কাঁঠালও উপকারী। কাঁচা কাঁঠাল প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ সবজি। পাকা কাঁঠালের বিচি যেমন বাদামের মতো ভাজা খাওয়া যায়, তেমনি তরকারিও খাওয়া যায়।
100 গ্রাম কাঁঠালের বিচি তে  ৬.৬ গ্রাম আমিষ এবং ২৫.৮ গ্রাম শর্করা থাকে। আমিষসমৃদ্ধ কাঁঠালের বিচি  সবার জন্যই উপকারী। তাই বেশি বেশি কাঁঠাল গাছ লাগাতে হবে। সেই সঙ্গে কাঁঠাল ফল খেলে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।

17 Benefits of Jackfruit,As nutritious as jackfruit,কাঁঠালের যত পুষ্টিগুন ,কাঁঠালের ১৮টি উপকারিতা

কাঁঠালের ১৮টি উপকারিতা - 18 Benefits of Jackfruit

 1. কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ খুবই কম। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বাড়ার ঝুঁকি কম থাকে।

 2. কাঁঠাল পটাশিয়ামের একটি চমৎকার উৎস। 100 গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ 303 মিলিগ্রাম। সেই পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্য কাঁঠাল উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি দেয়।

3. কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছে , যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।

4. কাঁঠালের অন্যতম উপকারিতা হল ভিটামিন সি। ভিটামিন সি মানবদেহে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় না। ভিটামিন সি মাড়িকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

5. কাঁঠালে উপস্থিত ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

6. কাঁঠালে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এটি আমাদের সর্দি-কাশি থেকেও রক্ষা করে। টেনশন ও নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল খুবই কার্যকরী। 

7. কাঁঠাল বদহজম প্রতিরোধ করে। 

8. কাঁঠাল গাছের শিকড় হাঁপানি উপশম করে। শিকড় সিদ্ধ করে যে চমৎকার পুষ্টি উপাদান বের করা হয় তা হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।

9. কাঁঠালের শিকড়ও চর্মরোগের চিকিৎসায় কার্যকর।

10. কাঁঠালের শিকড় জ্বর ও ডায়রিয়া সারায়।

11. কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, খনিজ পদর্থ আছে যা মানবদেহের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। B6 যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

 12. ছয় মাস বয়স থেকে মায়ের দুধের সাথে সাথে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়। অন্যদিকে তার প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।

13.কাঁঠালে উপস্থিত ক্যালসিয়াম শুধুমাত্র হাড়ের জন্যই উপকারী নয়, রক্ত ​​জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ার সমাধানেও ভূমিকা রাখে। অন্যদিকে, তার প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়।

 14. গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থসন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়

15. বুকের দুধ খাওয়ানো মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বাড়ায়।

16. কাঁঠাল আঁশালো হওয়ার কারণে এই ফলটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

17. কাঁঠালে রয়েছে খনিজ উপাদান আয়রন যা দেহের রক্তাল্পতা দূর করে।

18.  কাঁঠাল নার্ভাসনেস এবং টেনশন কমাতে  বেশ কার্যকরী। 

19.  কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন B6 যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 
 
 
 অনেকেই ণিচের টপিকস গুলো লিখে গুগলে সার্চ করে থাকেন। সেই বাক্যগুলো অনেকটা এই রকমের - কাঁঠাল খেলে কি গ্যাস হয়,পাকা কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা,কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম,কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা,কাঁঠাল খেলে কি ওজন বাড়ে,কাঁচা কাঁঠালের উপকারিতা,কাঁঠাল খেলে কি ক্ষতি হয়,খাজা কাঁঠাল চেনার উপায়,কাঁঠাল গাছে ফল ধরানোর উপায়,কাঁঠাল পাতার উপকারিতা,কাঁঠাল পাতার বৈশিষ্ট্য,কাঁচা কাঁঠালের উপকারিতা,হাজারী কাঁঠাল,কাঁঠালের পুষ্টিগুণ,কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা,পাকা কাঁঠালের উপকারিতা,কাঁঠাল খেলে কি ক্ষতি হয়,এঁচোড়ের উপকারিতা,কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম,কাঁচা কাঁঠালের উপকারিতা,আমের উপকারিতা,লের পুষ্টিগুণ ইত্যাদি। 
 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url