হজ্বের ফরয কয়টি ও কি কি
হজ হলো আল্লাহর সাথে বন্ধন স্থাপনের এক অন্যতম মাধ্যম। প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য পবিত্র হজ্জ করা ওয়াজিব। যদি কেউ হজ ফরজ হওয়ার পরও পালন না করে তাহলে সে হবে মহাপাপী। হাদীসে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তাকে কঠোরভাবে ধুশিয়ার করেছেন।
নিচে হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাত-মুস্তাহাব ও তালবিয়া ইত্যাদি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
হজ্বের ফরয কয়টি
এক. ইহরাম বাঁধা।
দুই. উ' কুফে আরাফাহ (বা আরাফাতের ময়দানে দাঁড়িয়ে)।
তিন. তাওয়াফুজ জিয়ারত।
হজ্বের ওয়াজিব কয়টি
এক. সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে ৭ বার সায়ি করা।
দুই. আ' কুফে মুযদালিফায় (৯ই জিলহজ) অবস্থান করা, অর্থাৎ ঐ দিন সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যো ডুবে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এক মুহূর্তের জন্য হলেও অবস্থান করা।
তিন. মিনায় তিন শয়তানকে (জামারাতে) পাথর নিক্ষেপ করা।
চার. 'হজ তামাত্তু' এবং 'কিবরান' এর কারীরা 'হজ' সমাপ্তির জন্য শোকর আদাত করা।
পাঁচ. ইহরাম খোলার আগে মাথার চুল কাটা।
ছয়. মক্কার বাইরের লোকদের জন্য, তাওয়াফে বিদা মানে মক্কা থেকে বিদায়ের সময় তাওয়াফ করা।
এছাড়াও অন্যান্য আর যে সকল আমল আছে, সবই সুন্নাত বা মুস্তাহাব।
হজ্জে তালবিয়াহ
‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক, লা-শারিকা-লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল-মুলক, লা শারিকালাক। '
অর্থ: আমি উপস্থিত, হে আল্লাহ! আমি এখানে! আমি এখানে আপনার ডাকে সাড়া দিতে এসেছি। তোমার কোন অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদ তোমার এবং নিরঙ্কুশ আধিপত্য তোমারই। তোমার কোন অংশীদার নেই।
ইহরাম অবস্থায় যেসব জিনিস হারাম বা নিষিদ্ধ
1. যেকোনো সেলাই করা কাপড় বা জুতা ব্যবহার করা যাবে না , এক্ষেত্রে স্পঞ্জ স্যান্ডেল ব্যবহার করতে পারেন।
2. মাথা ও মুখমণ্ডল ঢেকে রাখা (ইহরামের কাপড় সহ যেকোনো কাপড় দ্বারা)।
3. পায়ের পিছনের অংশ ঢেকে রাখে এমন জুতা পরা।
4. চুল কাটা বা চুল ছেড়া।
5. নখ কাটা যাবেনা।
6, সুগন্ধি তেল বা পারফিউম বা আতর ব্যবহার করা।
7 স্ত্রীর সাথে শারিরীক মিলন করা।7.
8. যৌন উত্তেজক কোনো আচরণ করা বা কথাবার্তা বলা।
9. শিকার করা যাবে না।
10. ঝগড়া বা মারামারি করা।
11. চুল ও দাড়িতে আঙুল দিয়ে আঁচড়ানো বা নাড়া চাড়া করা যাতে ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
12. শরীরে সাবান ব্যবহার করা।
13. উকুন, পোকা, মশা এবং মাছি সহ যে কোন প্রাণীকে মারা বা হত্যা করা।
14. কোন পাপের কাজ করা।
আল্লাহ যাদের কে হজ্ব করার তৌফিক দান করেন তারাই কেবল হজ্ব পালন করতে যেতে পারেন । তাই তারা ইতিমধ্যে হজ্ব পালন করতে গিয়েছেন বা যাবেন , আপনারা সবাই হজ্বের হুকুম আহকাম গুলো ভাল ভাবে পালন করার চেষ্টা করবেন ।ইনশাল্লাহ আল্লাহ আপনাদের হজ্ব করবেন । আমীন