মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - Mirza Fakhrul Islam Alamgir

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  তিনি বর্তমান বি এম পির মহাসচিব (২০২২)। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মাসে কত টাকা আয় করেন এবং তার মোট কত টাকার ও কি কি সম্পত্তি রয়েছে এছাড়া বিএনপির মহাসচিব হিসেবে তার বাংলাদেশে কতটুকু ক্ষমতা এবং তার নামে কয়টি মামলা রয়েছে। আজকে তাঁর ব্যক্তিগত পুরো জীবন সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্ম গ্রহন করেন ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে। তিনি একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। 2001 সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঠাকুরগাঁও থেকে বিএনপি'র মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রথমে কৃষি মন্ত্রণালয় ও পরবর্তীতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরে বিএনপির মহাসচিব হলেন কিভাবে

2009 সালের ডিসেম্বরে বিএনপি'র পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বিএনপি'র জ্যেষ্ঠ যুগ্ন মহাসচিব পদে নির্বাচিত হন। এর আগে এই পদে ছিলেন তারেক রহমান। তারেক রহমান এই সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ লাভ করেন। ঐ সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে মির্জা ফখরুল বিরোধী দলীয় মুখপাত্র হিসেবে গণমাধ্যমে পরিচিতি পান।। 2011 সালের 20 মার্চ বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করার পর দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ঘোষণা করেন। 

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা তার এই পদ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেউ কেউ বলেন বিএমপির নিতিমালায় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এর কোনো বর্ণনা নেই। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া 21 শে মার্চ 2011 সালে সৌদি রাজ পরিবারের আমন্ত্রণে সৌদি আরব যাওয়ার আগ মুহূর্তে মির্জা ফখরুলকে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ঘোষণা করে গেলে এই সংক্রান্ত বিভ্রান্তির অবসান ঘটে। 

2016 সালের 19 মার্চ দলটির ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে মির্জা ফখরুল মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। এছাড়া দেশব্যাপী বিএনপির একাধিক বিক্ষোভ ও আন্দোলন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন এই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী।   যেগুলোর অধিকাংশরই মুল কেন্দ্রে ছিল তত্তাবোধক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নামে কয়টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে ফৌজদারি মামলার পূর্ণাঙ্গ তালিকা নির্বাচন কমিশন ইসি পাওয়া যায়নি। তবে আংশিক তালিকা অনুযায়ী 38 মামলার মধ্যে তিনটিতে খালাস  পেয়েছেন তিনি। অতীতে তার নামে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছিল ৭ টি। ঘয়টি মামলস্য তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। আর একটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের নথিজাত করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বছরে 11 লাখ 31 হাজার টাকা আয় করেন। সেই হিসাবে তার মাসিক গড়ায আয় 94 হাজার টাকা। কৃষি খাত থেকে তার বছরে আয় 99 হাজার 500 টাকা। বাড়িভাড়া অ্যাপার্টমেন্ট দোকান বা অন্যান্য ভাড়া খাতে তাত আয়  না থাকলেও এই খাতে তার স্ত্রী বছরে আয় করেন চার লক্ষ 26 হাজার টাকা। তিনি ব্যবসা থেকে আয় করেন এক লাখ 25 হাজার টাকা। শেয়ার সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত এক লক্ষ 41 হাজার টাকা রয়েছে তার। তার স্ত্রীর শেয়ার থেকে 84 হাজার টাকা এবং সঞ্চয় পত্র থেকে বছরে আয় করেন 20 লক্ষ টাকা।

পেশাগতভাবে শিক্ষাগত চিকিৎসা আইন ও পরামর্শক ইত্যাদি থেকে বছরে আয় করেন ছয় লক্ষ টাকা। চাকরি করে বছরে সম্মানী ভাতা পান এক লাখ 62 হাজার টাকা। তার স্ত্রী চাকরি থেকে বছরে আয় করেন চার লক্ষ 45 হাজার টাকা। নিজের নামে সঞ্চয় পত্র  না থাকলেও স্ত্রীর নামে 20 লাখ টাকা সঞ্চয় পত্র আছে। স্

ত্রীর কাছ থেকে উপহার স্ব্রুরুপ  একটি প্রাইভেটকারও আছে তার। স্ত্রীর 17 লাখ 58 হাজার টাকার একটি গাড়ি আছে। আছে দশ ভরি সোনা যা বিএর সময় দান হিসেবে পেয়েছেন। এছাড়া তার স্ত্রী দুই লক্ষ টাকার স্বর্ণ আছে। মির্জা ফখরুলের10 লাখ টাকা মুল্যের দোতলা বাসার এক অংশ আছে। নিজের নামে  কোন অ্যাপার্টমেন্ট না থাকলেও তার স্ত্রীর নামে ২0 লাখ 50 হাজার টাকা মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url