কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে যে সব নিষেধাজ্ঞা থাকছে
বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই স্টেডিয়ামগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে থাকে টানটান উত্তেজনা। শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । এই উত্তেজনার মূল কারণ হিসেবে কখনও থাকে ফুটবল, আবারও কখনও বিভিন্ন রকমের ব্যক্তি সাধীনতায় নিজেদের আবদ্ধ রাখেন ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু এবার আর সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ নিয়ে আয়োজক দেশ কাতারের সরকার এমন কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যেগুলো অমান্য করলে পেতে হবে কঠিন শাস্তি। এমনকি দেওয়া হতে পারে জেল জরিমানা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত। একটি মুসলিম দেশ হওয়ায় কাতারের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলা দেখতে আসা বিদেশি পর্যটকরা কঠিন বিপাকে পড়ে যেতে পারেন। তবে চলুন আমরা দেখে নেই ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপে উপলক্ষে কি কি নিষেধাজ্ঞা থাকছে কাতারে।
প্রথমেই কোন ছোট পোশাক পরা যাবে না। বিশ্বকাপ দেখতে কাতারে আসা নারী সমর্থকদের মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়মকানুন। বিদেশি ফুটবল সমর্থকদের আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন তারা খোলামেলা পোশাক পরিধান না করে। সকলকে কমপক্ষে কাঁধ ও হাটু ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দর্শকরা তাদের পছন্দের পোশাকই পরিধান করতে পারবে। তবে সেই পোষাক যেন খোলামেলা কিংবা অশ্লীল ধরনের না হয়। শুধু স্টেডিয়ামের ভিতরই নয় নারী সমর্থকদের সকল জায়গাতেই শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে । ছোট পোশাক যাতে না পড়ে কেউ সেজন্য ১৫০০০ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যদি কেউ ভুল করেও শার্ট খুলে খালি গা হয় তাহলে বাংলাদেশি টাকায় ৩০ লক্ষ টাকার মত জরিমানা হতে পারে। হতে পারে জেলও।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দর্শকরা তাদের পছন্দের পোশাকই পরিধান করতে পারবে। তবে সেই পোষাক যেন খোলামেলা কিংবা অশ্লীল ধরনের না হয়। শুধু স্টেডিয়ামের ভিতরই নয় নারী সমর্থকদের সকল জায়গাতেই শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে । ছোট পোশাক যাতে না পড়ে কেউ সেজন্য ১৫০০০ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যদি কেউ ভুল করেও শার্ট খুলে খালি গা হয় তাহলে বাংলাদেশি টাকায় ৩০ লক্ষ টাকার মত জরিমানা হতে পারে। হতে পারে জেলও।
কাতারে মদ্যপান করা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। কিন্তু বিশ্বকাপ চলাকালে দর্শকদের জন্য বিয়ার পান করার ব্যবস্থা থাকবে। তবে তা কিনতে হবে অনেক বেশি দাম দিয়ে। তবে আপনি যত ইচ্ছা তত বিয়ার খেতে পারবেন না। এক্ষেত্রেও মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম কানুন। প্রতিটি বিয়ারের জন্য খরচ হবে ১২০ থেকে ১৫০ পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকায় হয় প্রায় ৬৫০০০ টাকা।
আর প্রতি অর্ডারে একসাথে চারটির বেশি বিয়ার কেনা যাবেনা। ২১ বছরের নিচে কেউ বিয়ার পান করলে তাকে জরিমানা গুনতে হতে পারে। ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ায় কাতারে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ফুটবল দর্শকরা নিজেদের ব্যাগেতে কোন ধরনের মাদকদ্রব্য বহণ করতে পারবেন না । কোন ধরনের মাদক দ্রব্য অনুমোদিত নয় কাতারে।
আর প্রতি অর্ডারে একসাথে চারটির বেশি বিয়ার কেনা যাবেনা। ২১ বছরের নিচে কেউ বিয়ার পান করলে তাকে জরিমানা গুনতে হতে পারে। ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ায় কাতারে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ফুটবল দর্শকরা নিজেদের ব্যাগেতে কোন ধরনের মাদকদ্রব্য বহণ করতে পারবেন না । কোন ধরনের মাদক দ্রব্য অনুমোদিত নয় কাতারে।
অতিরিক্ত মাতালপ্রায় লোকদের কথা বিবেচনা করে আলাদা বার বা জোনের ব্যবস্থা করেছে আয়োজকরা। তারা সেখানে বসে মদ পান করতে পারবে। তবে মাঠে কিংবা খোলামেলা জায়গায় মদ পান করা যাবে না।
এছাড়া পর্নোগ্রাফি দেখা শুকরের মাংস এবং অন্যান্য ধর্মের বই সাথে নেওয়া যাবে না । যে দেশে সিগারেট খাওয়াই নিষিদ্ধ সেখানে অ্যালকোহল শুকুরের মাংস নিয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকাটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
বিশ্বকাপ দেখতে আসা দর্শকদের সঙ্গী নির্বাচনের জন্যও দেওয়া হয়েছে সীমাবদ্ধতা । বিয়ে করা ব্যতীত কোন প্রেমিক-প্রেমিক একসাথে হোটেলে থাকতে পারবে। এছাড়া কাতারে সমকামীতাও জোরালো ভাবে নিষিদ্ধ। অভিযোগ প্রমানিত হলে জেল-জরিমানারও বিধান্ রেখেছে দেশটির সরকার।
তবে বিশ্বকাপের খেলা দেখতে আসা দর্শকদের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা রাখছে কাতার সরকার। সকলের জন্য চিকিৎসাসেবা ফ্রি। খেলা চলাকালে কাতারের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে দর্শকদের বিনামূল্যে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। যার ফলে কোনো বাড়তি খরচ ছাড়া আগত অতিথিরা সহ দর্শকরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাবে।
বিশ্বকাপ চলাকালীন কাতারের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে দর্শকরা স্বাস্থ সেবা নিতে পারবেন সম্পূর্ন বিনামূল্যে। বিশ্বকাপ দেখতে আসা অতিথিদের যেন কোন অসুবিধা না হয় সেজন্যই কাতার সরকার এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কাতার সরকার কিছু কিছু দিক দিয়ে অবশ্য বিশ্বকাপ দেখতে আসা অতিথিদের জন্য বেশ কিছু ভালো ব্যবস্থাই করেছে। কি বলেন আপনি আমাদের কমেন্টস করে জানান।
বিশ্বকাপ চলাকালীন কাতারের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে দর্শকরা স্বাস্থ সেবা নিতে পারবেন সম্পূর্ন বিনামূল্যে। বিশ্বকাপ দেখতে আসা অতিথিদের যেন কোন অসুবিধা না হয় সেজন্যই কাতার সরকার এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কাতার সরকার কিছু কিছু দিক দিয়ে অবশ্য বিশ্বকাপ দেখতে আসা অতিথিদের জন্য বেশ কিছু ভালো ব্যবস্থাই করেছে। কি বলেন আপনি আমাদের কমেন্টস করে জানান।