মেসির বিমানের ভিতরে কি কি রয়েছে

ফুটবল খেলার তাগিদে লিওনেল মেসিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতে হয়। লিওনেল মেসি এক স্থান  থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করার জন্য ব্যবহার করেন এলভি-আইআরও গলফস্ট্রিম ভি ব্র্যান্ডের একটি প্রাইভেট জেট বিমান। কি নেই মেসির এই বিলাসবহুল এই বিমানে।  মেসি তার বিমানটিকে এমন সব লাক্সারিয়াস জিনিস দিয়ে সাজিয়েছেন হয়েছে যা শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। বিলাসবহুল এই বিমানটির ভিতরে কি কি রয়েছে মেসি এই বিমানটি কত টাকায় কিনেছিলেন আর এর পছেনে তার কত টাকাইবা খরচ হয় তার।

মেসির বিমানের ভিতরে কি কি রয়েছে

বর্তমান সময়ের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। সারাবিশ্বেই তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। লিওনেল মেসি তার বিলাসী জীবনযাপনের জন্য কোন কিছু বাদ রাখেনি। যেমনি রয়েছে তার বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি তেমনি লিওনেল মেসির রয়েছে ব্যক্তিগত প্রাইভেট জেট বিমান। ২০১৮ সালে বিমান টি তিনি খরচ করেছিলেন 15 মিলিয়ন ইউরো। তবে ধারণা করা হয় বিলাসবহুল এই বাড়িটি তৈরি করেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে বিমান তৈরি কোম্পানি এয়ারবাস। 


আর্জেন্টিনার ওয়েবসাইট ‘ডাবল আমারিল্লা’ থেকে জানা যায় ,বিমান টি কেনার পর পরই মেসি তার মনের মত বিমান টি ডেকোরেশন করে নিয়েছিলেন। মেসির পছন্দ মোতাবেক ভিতরে প্রায় ১৬ টি লাগজারিয়াস সিট ব্যবহার করা হয়েছে যার এক একটি শিটের মূল্য বাংলাদেশী টাকায় প্রায় কোটি টাকারও উপরে। এই সিট গুলোকে আকর্ষণীয় করার জন্য বাঘের চামড়া ও কুমিরের চামড়া ব্যবহার করা হয়েছে বলে শোনা যায়। তবে একবার সমালোচনা হয়েছিল মেসির বিমানের সিটে যে চামড়া ব্যবহার করা হয়েছে তার জন্য তিনি নাকি আফ্রিকার বন্য প্রাণীদের হত্যা করিয়েছিলেন। পরে সেই তথ্যটি অবশ্য মিথ্যা প্রমাণিত হয়। 
 
এই.সীটগুলো চাইলে ভাজ করে রাখা যায় তাছাড়া এগুলোকে এক বাটনে সীট থেকে বিছানা বানিয়ে ফেলা যায়। যেখানে শুয়ে থাকা যায় আরাম করে। প্রতিটা সিটের সামনে লাগানো আছে এলইডি স্ক্রিন। আকাশ পথে যেতে যেতে যাতে করে পছন্দের সিনেমা বা কার্টুন দেখা যায়।এছাড়াও মেসির এই বিমানে বিশ্রাম করার জন্য ছোটখাটো একটি বেডও  রয়েছে। যেটি স্বর্ণ দিয়ে মোড়ানো। তবে বিমানের অন্য সব তথ্য পেলেও এই শোবার ঘরের ভিতরের কোন তথ্য বা ছবি জানতে দেওয়া হয়নি কাউকেই। 

বিমানটিতে রয়েছে বসার জন্য বেশ খোলামেলা জায়গা আছ একনফারেন্স রমও। এছাড়া এই বিমানে রয়েছে দুটি বিলাসবহুল টয়লেট। যার একটিতে শাওয়ারও আছে। আছে রান্না করার জন্য বড়সর একটা লাগজারিয়াস কিচেন রুম। লিওনেল মেসি সাধারণত চিকেন এবং স্যুপ খেতে খুবই পছন্দ করেন। আর তা বানানোর জন্য রয়েছে একজন স্পেসাল সেফ। ধারন আকরা হয় সেই শেফের বেতনই হবে মাসে প্রায় 20 থেকে 30 হাজার ডলারের মত। বিমানের পাইলট হিসেবে রয়েছে মেসির ব্যক্তিগত দুইজন পাইলট। 

বিমান টির বাহিরের নকশা অন্যন্য বিমানের থেকে আলাদা করে করা হয়েছে। বাইরে থেকে যেন বোঝা যায় এটি মেসির বিমান সেজন্য বিমানের পেছনের লেজে LM10 লিখে রেখেছেন তিনি।  এছাড়া বিমানে ওঠার জন্য যে অটোমেটিক সিঁড়িটি রয়েছে সেই সিড়িতে লিওনেল মেসির ছেলে মেয়ের নাম লেখা রয়েছে। ধারনা করা হয় মেসি শুধু এই বিমান্ টির পেছনেই বছরে খরচ করে প্রায় ৫ লক্ষ ডলারের বেশি। 
 
তবে লিওনেল মেসি যে পরিমাণ টাকা ইনকাম করেন। এই 5 লক্ষ ডলার তার কাছে তেমন কিছুই না। শুধুমাত্র একটি ক্লাবই তাকে এনে দেয় বছরে প্রায় ৩০০ মিলিয়নের বেশি ডলার। বুঝতে পারছেন তাহলে মেসি কত টাকা ইনকাম করে। মেসির ব্র্যান্ড প্রমোশন বা এডভার্টাইজিং এর জন্য এশিয়ায় ইউরোপ সহ অন্যন্য দেশে যাওয়া আসার জন্য এই এই বিমানটি ব্যবহার করে থাকে। এতে তার সময়ও কম লাগে এবং খুব সহজেই নিরাপদ ভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় তিনি যেতে পারবেন তিনি।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url