বাংলাদেশের এক নাম্বার ধনী কে ২০২৩ - Top 10 Richman BD 2023

বাংলাদেশ একটি গরিব দেশ। এদেশে এখনোও এমন অনেক মানুষ আছে যারা কিনা তিন বেলা ভাত ঠিকমত খেতেও পারেনা। বর্তমান সময়ের চরম বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশ এখন মারাত্মক রকমের অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন দুর্যোগময় পরিস্থিতির ভিতরেও আমাদের দেশে এমন কিছু ধনী ব্যক্তি রয়েছে যাদের টাকা দিয়ে ছোটখাটো একটি দেশ কিনে নেওয়া যাবে। আগের বছরের তুলনায় এ বছর সবারই সম্পত্তির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। তাই বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় উঠে এসেছে কিছু নতুন নাম। আজকে আমরা ২০২৩ সালের সেরা ১০ জন ধনী ব্যক্তি সম্পর্কে জানব।

১০. শাকিল হাসান || বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ২০২

শাকিব আল হাসান বাংলাদেশের সব  থেকে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ১০ আম্বার অবস্থানে রয়েছেন। বাংলাদেশের সেরা ধনীদের তালিকায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম থাকবে এটা কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। কারণ শাকিব আল হাসান ক্রিকেটে যেমন ভাল খেলে তেমনি তার অনেক ধরনের বিজনেস এবং ইনভেস্টমেন্ট হয়েছে। আর সেখান থেকেই আল হাসান টাকা আয় করে সেরা ধনীদের তালিকায় এসেছেন।

আমাদের সর্বশেষ আপডেট পেতে  Google News  Follow করুন।

শাকিব আল হাসান ১৯৮৭ সালে মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহন করেন। তো সেই হিসেবে তার বর্তমান বয়স হচ্ছে ৩৬ বছর। শাকিব আল হাসান বর্তমানে ঢাকার একটি অভিজাত এলাকায় বসবাস করছেন। বর্তমান সাকিব আল হাসানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ রয়েছে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় হয় প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

শাকিব আল হাসান একজন ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ীও। শাকিব আল হাসানের চিংড়ি ব্যবসার পাশাপাশি গরুর খামার রয়েছে। শাকিব আল হাসানের দেশে-বিদেশে মিলে মোট 75 টি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন পণ্যের ব্র্যান্ড প্রোমোটার হিসেবে কাজ করেন থাকেন। যার জন্য তিনি কোটি টাকা চার্জ করে থাকেন।

সাকিব আল হাসানের কালেকশনে অনেক গুলো গাড়ি রয়েছে। শাকিবের প্রথম গাড়িটি হচ্ছে নিসান ব্লুবার্ড। যার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার উপরে। এছাড়া শাকিবের কাছে রয়েছে ফ্রুট কোম্পানির একটি গাড়ি। শাকিব আলা হাসানের তৃতীয় গাড়ি টি হচ্ছে মারসিড়িজ বেঞ্জ ৩৫০। এই গাড়িটি সাকি আল হাসান তার স্ত্রীকে গিফট করেছে। যার মুল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এছাও শাকিব আল হাসানের রয়েছে   বিএমডব্লিউ 7 সিরিজের একটি গাড়ি। যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।

৯.  রাগীব আলী | বাংলাদেশের কোটিপতিদের তালিকা ২০২৩

বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ৯ নম্বরে রয়েছেন রাগীব আলী। রাগীব আলী সিলেট জেলার একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি  শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক। তিনি ১৯৩৮ সালের ১০ই অক্টোবর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সেই হিসাবে তার বর্তমান ময়স ৮৫ বছর।

ছোটবেলা থেকেই তিনি ইংল্যান্ডে বসবাস করেন এবং সেখান থেকেই তিনি তার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেন। তাঁর পিতা ছিলেন একজন কাঠুরিয়া৷ কিন্তু কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যবসস্যের মাধ্যমে তিমি আজকের এই পজিশনে এসেছেন। বাংলাদেশের বেশিরভাগ চায়ের চাহিদা মিটিয়ে থাকে এই রাগীব আলীর চায়ের কোম্পানি। বর্তমানে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩৭০ মিলিয়ন ইউএস ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় হয় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি। 

রাগীব আলী প্রথম অবস্থায় কিন্তু এত সম্পত্তির মালিক ছিলেন না। রাগীব আলী তার জীবনের শুরুতে একজন লেখক ছিলেন। এরপর অনেক কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এত সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি। রাগীব আলী যেমন দু হাত ভরে অর্থ কামিয়েছেন তেমনি শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাও করেছেন। তার মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথ ইষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, লিডিং ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি অন্যতম।

এ ছাড়াও প্রায় ২০০ শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণের পেছনে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বর্তমানে রাগীব আলীর বিশাল বিশাল ৪ টি চা বাগান রয়েছে। যার একেকটির মূল্য প্রায় 200 কোটি টাকা। ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরাতন চা বাগান মালনীছড়ার বর্তমান মালিক এই রাগীব আলী। 

৮. ইকবাল আহ্মেদ | বাংলাদেশের সেরা ১০ ধনী ২০২৩

বাংলাদেশের শীর্ষ 10 ধনীর তালিকায় ৮ নাম্বারে রয়েছেন রয়েছেন ইকবাল আহম্মেদ। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্রিটিশ বাংলাদেশী ব্যবসায়ী। ইকবাল আহম্মেদ ১৯৫৬ সালের ৪ই আগস্ট সিলেট বিভাগের ওসমানীনগর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সেই হিসাবে তার বর্তমান বয়স প্রায় ৬৭ বছর। তিনি বর্তমানে লন্ডনের ম্যানচেস্টারে বসবাস করেন।

বর্তমানে ইকবাল আহমেদের  সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় হয় প্রায় ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। তবে বাংলাদেশি ধনী ব্যক্তিরা কখনোই তাদের টাকার সঠিক পরিমান প্রকাশ করেননা। তাহলে তাদের সেই টাকার উপ সরকারকে ট্যক্স দিতে হয়। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ ব্যবসায়ী শুধু চিংড়ি মাছের ব্যবসা করে এত টাকার মালিক হয়েছেন।

সিমার্ক এবং ইবকো নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। এই দুটি কোম্পানি মূলত শিপিং, রিয়েল এস্টেট হোটেল খাদ্য আর হাসপাতাল নিয়ে ব্যবসা করে থাকে। এই কোম্পানি গুলোর মাধ্যমে তিনি যুক্তরাজ্যে ধনীদের তালিকায় তার নাম স্থান পেয়েছে। তিনি বৃটিশ বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছেন। ইকবালের আহমেদের গাড়ির মধ্যে রয়েছে  বিএমডব্লিও ৭ সিরিজ ও ব্রিটিশ বিখ্যাত রোলস রয়েস ঘোস্ট। যা কিনা বলিউডের অনেক বড় বড় সুপার স্টাররা ব্যবহার করে থাকে।

৭.  মহীউদ্দীন খান আলমগীর | বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী ২০২৩

সম্পত্তির দিক থেকে ৭ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রী, লেখক, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ। 2012 সালে তিনি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তাকে গঙ্গা পানি চুক্তি ও পার্বত্য শান্তি চুক্তির প্রনেতা বলা হয় । মহীউদ্দীন খান আলমগীর চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায় ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। সেই হিসাবে তার বর্তমান বয়স প্রায় ৮১ বছর।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ও বস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন। বর্তমানে তার মোট সম্পত্তির পরিমান প্রায় ৪১০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশের টাকায় হয় প্রায় ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকার মতো। সম্পদের দিক থেকে তিনি লিওনেল মেসির চেয়েও ১০ মিলিয়ন ডলার এগিয়ে রয়েছে। 

৬.  গিয়াসউদ্দিন আল মামুন | বাংলাদেশের ১০ জন সেরা ধনী ২০২৩

আমাদের তালিকায় ৬ নম্বরে রয়েছেন গিয়াসউদ্দিন আল মামুন্। তিনি একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের বন্ধু ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের মত। যা বাংলাদেশী টাকায় হয় প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

ব্যবসার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর জন্য তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তার নামে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার নামে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অবৈধ অস্ত্র রাখা এবং কর ফাঁকি টেন্ডারবাজি সংক্রান্ত আরও অনেকগুলো মামলা রয়েছে।

৫. সৈয়দ আবুল হোসেন | বাংলাদেশের সেরা ধনীর তালিকা ২০২৩

তিনি একজন রাজনীতিবিদ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক। তিনি পর পর ৪ বার মাদারীপুর ৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ২০০৯ সালে যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৫১ সালের ১ অক্টোবর মাদারীপুর নেলার ডাসার উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সেই হিসাবে তার বর্তমান বয়স ৭২ বছর। তিনি 1978 সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবনের শুরুতে তিনি চাকরি করলেও পরবর্তীতে ব্যবসা শুরু করেন। তিনি সাহকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং সাহকো এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি এশিয়ার বোয়াও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। 2012 সালের পদ্মা সেতুর দুর্নীতিতে তিনি আছেন বলে বিশ্ব ব্যাংক তার নামে অভিযোগ তুলেছিল। তবে এই কথা অবশেষ প্রমানিত হয়নি। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ রয়েছে প্রায় 1 বিলিয়ন ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় হয় ১০০০০ কোটি টাকা প্রায়।

৪.  সজীব ওয়াজেদ জয় | বাংলাদেশের সেরা ১০ জন কোটিপতি ২০২৩

সজীব ওয়াজেদ জয় একজন বাংলাদেশের আইসিটি উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি। তিনি 1971 সালের 27 জুলাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জন্মগ্রহণ করেন। সেই হিসাবে তার বর্তমান বয়স ৫২ বছর। কিন্তু তাকে দেখে তার বয়স অনুমান করার সুযোগ নেই। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এ্যট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সাইন্সের গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেন।

তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির প্রধান এডভাইজার। আর তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় হয় প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মতো। তিনি যে গাড়িগুলো সাধারণত ব্যবহার করেন তার মধ্যে বিএমডব্লিউ 7 সিরিজ অন্যতম। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ব্রান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন।

৩. তারেক রহমান | বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে ২০২৩

তারেক রহমান একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। তিনি বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তারেক রহমান ১৯৬৭ সালের ২০ই নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সেই হিসাবে তার বর্তমান বয়স ৫৬ বছর।

কিন্তু তাকে দেখেও তার বয়স অনুমান করা যায়না। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে পারেননি। তার আগেই তিনি ব্যবসায় শুরু করেছিলেন। তারেক রহমানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় হয় ১৭ হাজার কোটি টাকা।

২. সায়েম সোবহান তানভীর | বাংলাদেশের ধনীর তালিকা ২০২৩

বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি সায়েম সোহান আনভীর। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান। আনভীরের বাবা আহমেদ আকবর সোবহান যিনি বসুন্ধরা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার বাবার পৈতৃক সূত্রে তিনি এত সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। সায়েম সোহান আনভীর ১৯৮১ সালে জন্মগ্রহন করেন। সে হিসেবে তাঁর বর্তমান বয়স ৪২ বছর।

বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য মতে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় হয় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। বলা হয়ে থাকে তার যে নিজস্ব বাড়িটি রয়েছে তা নির্মাণ করতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তার কালেকশনে বেশকিছু লাগজারিইয়াজ  গাড়ি রয়েছে। তার ব্যবহূত প্রথম গাড়িটির নাম নিশান জি টি আর। বাংলাদেশী খুব কম লোকই ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া তাঁর কাছে রয়েছে mercedes-benz S Class । যার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। তার ব্যবহূত তৃতীয় গাড়িটি হচ্ছে Mercedes Benz E63 AMG. যেটা কিনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যবহার করে থাকে।

এছাড়া দুবাইয়ের রাজপুত্র এই একই মডেলের গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন। তবে তার গাড়িটি সোনা দিয়ে মোড়ানো। এই গাড়িটির মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫ কোটি টাকার মতো। এরকম চারটি G63 AMG গাড়ি রয়েছে তানভীরের কালেকশনে। এছাড়া তার কাছে লেক্সাস আরসি নামের একটি গাড়ি রয়েছে।

সায়েম সুবাহান আনভীরের কাছে থাকা সবচেয়ে দামি গাড়িটি হচ্ছে ব্রিটিশ বিখ্যাত Rolls Royce Ghost. যার ভারতীয় মূল্য প্রায় ৮ কোটি টাকা। আর এটা বাংলাদেশে আনতে হলে প্রায় তিনগুণ ভ্যাট দিতে হয। বলা হয়ে থাকে আনভিরের কালেকশনে এরকম তিনটি রোলস রয়েস গাড়ি রয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সে বিলোনিয়ার হয়েছেন এই সায়েম সোবহান আনভীর। এছাড়া তাঁর একটি প্রাইভেট জেট বিমান রয়েছে।

১. সালমান এফ রহমান | বাংলাদেশের এক নাম্বার ধনী কে ২০২৩

বাংলাদেশের ধনীদের তালিকায় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন সালমান এফ রহমান। সালমান এফ রহমান একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি, সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা। সালমান এফ রহমান ২৩শে মে ১৯৫১ সালে ঢাকার দোহার উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বর্তমান বয়স প্রায় ৭৩। তিনি পাকিস্তানের ইউনিভার্সিটি অফ করাচি থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছেন। 

সালমান এফ রহমান ১৯৬৬ সাল থেকে তার ভাইয়ের সাথে পারিবারিক পাটের কারখানা শুরু করেন। এরপর ১৯৭২ সালে তারা বেক্সিমকো নামে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি গড়ে তোলে। আর এই কোম্পানি মূলত ইউরোপে সামুদ্রিক মাছ ও হাড়ের গুড়া সহ আরো অনেক পণ্য রপ্তানি করে থাকে। আর এর বিনিময়ে তারা দেশে ঔষধ আমদানি করতো। ১৯৭৬ সালে তারা দুই ভাই মিলে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিষ্ঠা করেন। 

আর এই কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি করে থাকে। এছাড়াও বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন আমদানি করে থাকে। আর এই বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশের ঔষধ উৎপাদন কারি প্রথম সারির কোম্পানি গুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও তিনি দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকা ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের মালিক। 

সালমান এফ রহমানের নিজস্ব প্রাইভেট হেলিকপ্টার রয়েছে। তিনি যখন যেখানে যান সেখানেই প্রাইভেট হেলিকপ্টার নিয়ে যান। এছাড়া তাঁর কালেকশনে বিভিন্ন ধরনের লাক্সারিয়াস গাড়ি রয়েছে। তার কাছে রয়েছে মারসিটিস সহ ব্রিটিশ বিখ্যাত রোলস-রয়েস গাড়ি পর্যন্ত। সালমান এফ রহমানের সঠিক সম্পত্তির পরিমাণ কোথায় সঠিকভাবে বলা নেই। তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য মতে ধারণা করা হয় তার সম্পত্তির পরিমাণ হবে প্রায় ৬০ থেকে 70 হাজার কোটি টাকা।

আমাদের সর্বশেষ আপডেট পেতে  Google News  Follow করুন।

আজকের প্রতিবেদনের ইনফরমেশন গুলো আমরা অনলাইন ঘেটে বিভিন্ন সোর্স থেকে সংগ্রহ করেছি। তাই সময়ের সাথে তথ্যগুলো কম বেশী পরিবর্তীত হতে পারে।

অবশেষে একটা কথা বলব। অন্যের সম্পত্তির দিকে না তাকিয়ে হালাল পথে থেকে অল্প অর্থ উপার্জন করাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম। আল্লাহ চাইলে অল্প রিযিকেই, অল্প উপার্জনেই অনেক বেশী বরকত দিতে পারে। এই বিষয়ে আপনার কি মতামত তা অবশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন।


Next Post Previous Post
2 Comments
  • নামহীন
    নামহীন ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এ ৫:০৬ PM

    যার যেমন ইনকাম তার সামর্থ্যের উপর ভিত্তি করে চললে সে সফল হবে আমার মতে

  • নামহীন
    নামহীন ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এ ৩:০৬ PM

    আল্লাহ মালিক, আল্লাহ যা দেন তাতেই খুশি।

Add Comment
comment url